সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

আগেও বলেছি শহীদ গণির পরিবারের দায়িত্ব আমার, এখনো তাই বলছি- অ্যাড. আসলাম মিয়া

গোয়ালন্দ প্রতিনিধি ॥
  • Update Time : শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১১০ Time View

কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রাজবাড়ীর আব্দুল গনির পরিবারের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শহীদ গণির পরিবারের ব্যাপারে অ্যাডভোকেট মো. আসলাম মিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, এক বছর আগেও বলেছি শহীদ গণির পরিবারের দায়িত্ব আমার, এখনো তাই বলছি। একটা ছেলে ও একটা মেয়ে রেখে আব্দুল গণি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সেদিন থেকেই শহীদ গণির পরিবারের দায়িত্ব আমার। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় আব্দুল গণির নিজ বাড়ির পাশের মাঠে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. আসলাম মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন গাজী, খানখানাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন, নিহত আব্দুল গণির বাবা আব্দুল মজিদ শেখ স্ত্রী লাকী বেগম ও ছেলে আলামিন শেখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আব্দুল গণির রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন চর খানখানাপুর ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মো. দেলোয়ার হোসেন। এসময় জেলা বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা, নিহত আব্দুল গণির পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ শহীদ গণির কবর জিয়ারত করেন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ সভাপতি অ্যাড. মো. আসলাম মিয়া বলেন, ঢাকায় কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আমার এলাকার আব্দুল গণি শেখ। তার মৃত্যুতে তার পরিবারে অসহায়ত্ব নেমে আসে। আমরা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আশ্বাস দিয়েছি, আমরা তাদের পাশে রয়েছি। তিনি আরও বলেন, জেলা বিএনপি ও সদর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোযা মাহফিলের আয়োজন করেছি। এ ছাড়াও তার ছেলে ও মেয়ের পড়ালেখার খরচ আমরা বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

রাজধানীর গুলশানে-২ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন আব্দুল গণি শেখ। গত বছরের ১৯ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন গণি। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় কোটা আন্দোলন ঘিরে চলমান সংঘাতের মধ্যে পড়েন তিনি। সংঘর্ষ চলাকালে তার মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। এতে তিনি মারা যান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com