রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় মাটিকাটাকে কেন্দ্র করে রাজু শেখ (৩৪) নামের এক ব্যক্তিকে মারধর ও তার বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেল চারে ৪টার দিকে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের মালঞ্চী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। রাজু একই গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
রাজুর চাচা নাজিমউদ্দিন শেখ বলেন, ‘মাটি কাটা নিয়ে রাজু ও শফিকুল নামে একজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর শফিকুল লোকজন নিয়ে রাজুর বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে এবং পরবর্তীতে তাকে বেধরক মারপিট করে। ভাংচুরের ঘটনায় রাজুর পরিবারের ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মাটির ব্যবসা করি। রাজুর এলাকা থেকে আমি কিছু মাটি কিনেছি। সেই মাটি ভেকু দিয়ে কেটে বিক্রি করছি। রাজু এসে আমার কাছে কয়েক গাড়ি মাটির দাবি করে। আমি তাকে এই মাটি দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে গালিগালাজ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে আমার ছোট স্বজন ও বন্ধু বান্ধবরা বিষষটি জানতে পেরে রাজুর বাড়িতে রাজুকে খুঁজতে যায়। তাকে না পেয়ে তার তালাবদ্ধ ঘরে দুইচারটা বাড়িটারি দিয়েছে হয়তো। পরে জানতে পারি তার বাড়ির ঘরের ভেতর ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ভাঙচুর কে বা কারা করেছে তার আমার জানা নেই।’
রাজুকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ কিছু ছেলেরা রাজুকে ধরে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় সেলিম ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিতে গিয়ে পরে যায়। এতে মোটরসাইকেল চালকেরও মারাত্বকভাবে পা কেটে গেছে।’
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, ‘মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই জনের মধ্যে মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।