রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র’র সভাপতিত্বে মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. খোকন উজ্জামান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. কবির হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রুহুল আমীন, গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম, দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উন্মুক্ত আলোচনয় স্কুল শিক্ষক সুশীল কুমার উপজেলার ২৬ টি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে বলেন, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকলে অনেকটাই ভালো হবে।
গোয়ালন্দ প্রেসক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ আবুল হোসেন প্রথমেই গোয়ালন্দ উপজেলার নবাগত তিনজন কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, দৌলতদিয়ায় ফেরিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে জুয়া খেলা হয় সেদিকে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। পুড়াভিটায় বিয়ারসহ অন্যান্য মাদকের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার কথা জানান তিনি। উপজেলা মাদক পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গোয়ালন্দে ১০ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর ৮ জনই পুড়াভিটার বাসিন্দা। এদের বিরুদ্ধে অতি শীঘ্রই আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গণেশ পাল বলেন, গোয়ালনদে কর্মসংস্থানের অভাবে মূলত মাদক বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক জনপ্রতিনিধি নিজেই যদি যৌনপল্লীর বাড়িওয়ালা। ঘরের লোকই যদি এমন হয় তাহলে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। পরিবার থেকেই পরিবর্তন করতে হবে। তবেই ভালো সমাজ গড়া যাবে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের স্পীড ব্রেকার গুলোর সামনে রং না থাকায় মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। এসব স্পীড ব্রেকারের সামনে রং করা অতি জরুরি হয়ে পরেছে।