রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আকু শেখ (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। তিনি উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতবরপাড়ার মৃত হায়দার আলীর ছেলে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে ভিকটিমের বাড়ির আঙিনায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী হামলাকারী উজ্জল শেখকে (৪০) কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। উজ্জল ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার কবিরপুর গ্রামের হালিম শেখের ছেলে। সে জিতু শেখের পাড়ায় তার মামা মোহাম্মদ শিকদার (মাস্টার) এর পরিত্যক্ত বাড়িতে দুই মাস ধরে বসবাস করতো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে আকু শেখ দেখতে পান তার খড়ের গাদা থেকে উজ্জ্বল শেখ খড় নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে পোড়াচ্ছে। এই ঘটনা দেখে আকু শেখ এগিয়ে গিয়ে তাকে নিষেধ করে। এতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উজ্জলের সাথে থাকা ধারালো দা দিয়ে আকুকে কোপ দিলে তার হাতে কোপ লেগে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ সময় আকুর আর্ত চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারী উজ্জ্বল পালিয়ে যায়। আকু শেখকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে এলাকাবাসী হামলাকারী উজ্জল শেখকে খুঁজে গণধোলাই দেয়। পরে বুধবার সকালে তাকে গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশের কাছে দেয়। পুলিশ হামলায় ব্যবহৃত দা জব্দ করছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক আসামিকে রাজবাড়ীর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।