ভারতে বন্যার কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের সবগুলো (১০৯টি) গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এর প্রভাব পড়েনি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে। বরং এখানে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার নিচ দিয়ে। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন জানান, গত কয়েকদিন ধরে এখানে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬ টা হতে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ৯ ঘন্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি ৫ সেন্টিমিটার কমেছে। এখানে পানির বর্তমান লেভেল ৬.৮৫ মিটার। বিপদসীমা ৮.২০ মিটার। এছাড়া জেলার কালুখালি উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে বিগত ৯ ঘন্টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এখানে পানির বর্তমান লেভেল ৮.০৫ মিটার। বিপদসীমা ৯.৭৫ মিটার। অর্থাৎ জেলার দুটো পয়েন্টেই পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের পানি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আসতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। তবে তা বন্যা হওয়ার মতো হবে না। তাদের (পাউবো) বিভাগীয় বন্যা সতর্কীকরন বার্তায় আগামি ৫ দিন পর্যন্ত পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার কোন আশংকা নেই। তাই ফারাক্কা ব্যারেজ খুলে দেয়া হলেও জনসাধারণকে আতঙ্কিত হওয়ার কারন নেই। তবে সতর্ক থাকা ভাল।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, তারা ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ জন্য উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তর, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবারও দৌলতদিয়া পদ্মা নদী পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে ৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২৪ টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসন হতে ১০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জনসাধারনকে আতঙ্কিত হওয়ার কারন নেই। সরকার তাদের পাশে রয়েছে।