রাজবাড়ীর আদালতে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এতে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিতুল হাকিম সহ আসামি করা হয়েছে ৭৪ জনকে। মঙ্গলবার পাংশা আমলী আদালতে পৃথক মামলা দুটি করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, গুধিবাড়ি গ্রামের নাসির উদ্দিন খান বাদী হয়ে মিতুলসহ ৫৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন পাংশা আমলী আদালতে। আপরদিকে, পাংশার চর দুর্লভদিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেন খানের ছেলে মো. রোকন খান পাংশা পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল আল মাসুদ বিশ্বাসসহ ১৭ জনকে আসামি করে দায়ের করেন ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মিতুল হাকিমের ঘনিষ্ঠ মনোয়ার হোসেন জনি, কালুখালীর মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মারুফ সরদার, পাংশার যুবলীগ নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ^াস, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য গোবিন্দ কুন্ডু প্রমুখ।
মামলায় বাদী নাসিরউদ্দিনের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে একটি এক্সকাভেটর ক্রয় করে ব্যবসা করছিলেন। যেটি পাংশার ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী মাসিক ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে মাটি কাটার জন্য উপজেলার পাট্টায় নিয়ে যান। ওই বছরের ১ নভেম্বর তারিখে আসামিরা তার বাড়িতে গিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় তিনি পাঁচ লাখ টাকা দেন। আসামিরা বাকী ১৫ লাখ টাকা পরদিন দিতে বলে। না হলে তার এক্সকাভেটর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তিনি ১৫ লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আসামিরা পাট্টায় গিয়ে এক্সকাভেটরটি পুড়িয়ে দেয়। এতে তার ২৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। ঘটনার পর পাংশা থানায় গেলেও কোনো সহযোগিতা পাননি। পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকায় আদালতে মামলা করার সাহস পাননি।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদ উদ্দিন মোল্যা বলেন, ‘নাসির উদ্দিন খানের দায়ের করা মামলা পিবিআই ও মো. রোকন খানের মামলাটি রাজবাড়ী জেলা ডিবি ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ বিষয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ছেলে মিতুল হাকিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।