রাজবাড়ীতে গত কয়েকদিনে বেড়েছে মাছের দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে সবজি ও মুরগীর দাম। সরবরাহ কমায় শহরের বাজারগুলোতে গত ৪ দিনের ব্যবধানে বড় মাছের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০। ইলিশের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
সোমবার রাজবাড়ী জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায়, যা গত ৫ দিন আগেও ছিল ১৬৫০ থেকে ১৮০০ টাকায়। মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। গত কয়েকদিনের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি থাকায় মাছের দোকানগুলোতে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
রুই, কাতল ও পাঙ্গাসের দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা যা চার পাচ দিন আগেও ছিল ৪০০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা এবং পদ্মার বড় পাঙ্গাসের দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০০ টাকা।
বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, চাষের পাঙাস ১৯০ থেকে ২১০ টাকায়, বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭২০ টাকায়, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৮০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কই মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়, টেংরা মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়, বাইন মাছ ১ হাজার ৫০ টাকায়, সিলভার কার্প ২০০ টাকায়। বড় তেলাপিয়া ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কাচকি মাছসহ বিভিন্ন পাঁচমিশালী মাছ আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতারা বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে বাজারে মাছের আমদানী তুলনামূলক কম আসায় গত চার-পাচ দিন যাবত বড় মাছগুলোর দাম বেড়েছে। নদীতে পানি বেশি থাকায়, প্রতিকূল আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে জেলেরা সমুদ্র ও নদীতে মাছ ধরতে পারছেন না। তবে এবছর খাল ও পুকুরে পানি একেবারেই কম হওয়ায় বাজারে চাষের মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে চাষের মাছের দামও বেশি।
অপরদিকে সবজি বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা দরে। প্রতি কেজি আলুর দাম রাখা হচ্ছে ৫৫ টাকা। শুকনা মরিচ ৫০০ টাকা, আদা ২৫০ টালা এবং রসুন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা সবজি বিক্রেতারা জানান, গত ১ সপ্তাহ যাবত সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে, দামে কোনো তারতম্য নেই।
বাজারে সবজি কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়। বেগুন প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫৫ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ো ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চলকুমড়ো প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, কাচা কলা ও লেবু প্রতি হালি (আকারভেদে) ১৮ থেকে ২২ টাকা।
এছাড়াও ফুলকপি ১০০ টাকা, বাধাকপি ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টমেটো ১৮০ থেকে ২১০ টাকা, লাফা বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও মুলা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।