সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য ভগবান বিষ্ণু শ্রীকৃষ্ণের অবতার রূপে জন্মগ্রহণ করেন। এই কারণে হিন্দু ধর্মালম্বীরা শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান জ্ঞান করেন। দ্বাপর যুগে কংশের কারাগারে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীকৃষ্ণ। দেবকীর গর্ভের অষ্টম সন্তান ছিলেন তিনি। কথিত আছে, চন্দ্রবংশী কৃষ্ণ মধ্যরাতে আবির্ভূত হন, কারণ সেই চাঁদ গোটা বিশ্বকে তার কিরণে উজ্জ্বল করে। সেই কারণে আকাশে চাঁদ দেখার পরেই জন্মাষ্টমীর উপবাস পালন করার রীতি রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে চন্দ্রদেব শ্রীবিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে যখন বিষ্ণু মর্ত্যে আবির্ভূত হবেন, তখন যেন চন্দ্র তাঁকে সরাসরি দেখতে পান। সেই কারণে মধ্যরাতে চাঁদের আলোয় যখন চরাচর উদ্ভাসিত, সেই সময় জন্ম নেন শ্রীকৃষ্ণ।
রাজবাড়ীতে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এ উপলক্ষে লক্ষীকোল হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে মন্দির প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, যুগ্ম আহবায়ক গাজী আহসান হাবিব, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অশোক কুমার সরকার, রাজবাড়ী জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষীকোল হরিসভা মন্দির কমিটির সভাপতি জয়দেব কর্মকার, গণেশ মিত্র প্রমুখ।
জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য এক লাখ টাকা রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, যে টাকা সহায়তা আপনারা দিয়েছেন তা আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হবে।