প্রচন্ড দাপুটে চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। কারণে অকারণে মানুষকে ভয় দেখাতেন। ৫ আগষ্ট দুপুর থেকে এমন দাপুটে চেয়ারম্যানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎ কোথায় গেলো কেউ জানে না। কোথাও তাকে দেখা গেছে এমন প্রত্যক্ষদর্শী খুজে পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুর এরকম পালিয়ে থাকায় থেমে যায় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য সরকারি নীতি অনুসরণ প্রক্রিয়া শুরু করে। এরই মাঝে পলাতক চেয়ারম্যানকে পরিষদে উপস্থিত দেখিয়েছেন মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের রবিউল ইসলাম।
কোন ইউপি সদস্য বা চেয়ারম্যান উপস্থিত না থাকলেও কাগজে কলমে গত ১৫ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের এক জরুরী সভা দেখান সচিব রবিউল ইসলাম। ওই সভায় তিনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু ও সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশন খাতায় লিপিবদ্ধ করেন। পরে সভার কার্য বিবরনী তুলে ধরেন। কাগুজে ওই সভায় ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মদন কুমার প্রামানিককে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। নকল স্বাক্ষরযুক্ত এই সভা উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে পলাতক চেয়ারম্যানকে উপস্থিত দেখানোর চেষ্টা করেন সচিব। এরই মাঝে সব জানাজানি হয়ে যায়। উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া আফরোজ বিষয়টির খোজ নিয়ে এর সত্যতা পান। বৃহস্পতিবার তিনি মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ডেকে ১৫ আগষ্টের সভার বিষয়ে জানতে চান।
মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওই সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ প্রতিনিধিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মদন কুমার প্রামানিক জানান, আমি ওইদিন পরিষদে যাইনি। কোন প্রকার স্বাক্ষরও প্রদান করিনি। এটা আমাদের সাথে প্রতারণা। আমরা এর বিচার চাই।
সচিব রবিউল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু আমাকে মোবাইল ফোনে এ ধরনের সভার ব্যবস্থা করতে বলেছে। তাই করেছি। এতে আমার কোন দোষ নেই। ১২ জন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের স্বাক্ষর জাল সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়েছে ।