চাঁদাবাজি ও কালোবাজারি রুখতে ল ফোরাম রাজবাড়ীর সদস্যরা সোমবার বাজার মনিটরিং এবং আইনি সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান চালিয়েছে। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল চাঁদাবাজি ও কালোবাজারির মতো অবৈধ কর্মকান্ড প্রতিরোধ করা এবং বাজার ব্যবস্থাপনাকে আইনানুগভাবে পরিচালিত করতে সকল ব্যবসায়ীকে উৎসাহিত করা।
তারা বাজারের বিভিন্ন পণ্য, যেমন মাছ, মুরগি, শুঁটকি, সবজি, মাংসসহ বিভিন্ন দোকানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালান। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের প্রভাবে মুখে ৫ আগস্ট থেকে বাজারে পণ্যের দাম সীমিত পরিসরে কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ী ও পাইকারদের কথা বলে জানা যায়, কাঁচা বাজারের দামে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিপতি ৫-১০ টাকা কমেছে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা মুরগির বাজারে গিয়ে বিক্রেতাদের ক্রয় এবং বিক্রয়ের হিসাব মিলিয়ে মুরগির দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমিয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ওএমএস ডিলারদের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পান। ডিলাররা অবৈধভাবে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ চাল মজুদ করে রেখেছিল। পরে সকল চাল জনগণের মধ্যে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করা হয়।
একজন ব্যবসায়ী জানান, চাঁদার টাকা পরিশোধের কারণে তারা পণ্যের দাম বাড়ান। ল ফোরামের আইনি দল বাজারের ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজির বিষয়ে সচেতন করেছে এবং তাদের অধিকার ও করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছে। দলটি ব্যবসায়ীদের জানিয়েছে, রসিদ ছাড়া কোনও ধরনের অর্থ লেনদেন করলে তা আইনি পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে না এবং এর ফলে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তারা আইনী সাহায্য চাইলে তা প্রদান করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। এছাড়া কর বা বাজার ইজারা পরিশোধও বৈধ রসিদের মাধ্যমেই করতে হবে। আইনি সচেতনতা প্রচারণায় ব্যবসায়ীদের আরো সতর্ক করা হয় যে, তারা যেন কোনও অবস্থাতেই ক্রেতাদের ঠকানোর চেষ্টা না করেন এবং ভোক্তাদের অধিকার ক্ষুন্ন করলে যে শাস্তির বিধান রয়েছে, সে সম্পর্কেও তাদের সচেতন করা হয়। এ ধরনের সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযানের ফলে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ হবে ফলে উভয় পক্ষই স্বস্তিতে থাকতে পারবেন ও বাজারে সুশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বাজারের নানা ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা। ল ফোরামের’র বাজার মনিটরিং এবং আইনি সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চলমান থাকবে, যাতে বাজারের চাঁদাবাজি ও কালোবাজারি কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা যায় এবং ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন সাথে করে ভোক্তারাও যাতে তাদের অধিকার হতে বঞ্চিত না হয়।