আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্নে ৪টি ঘাট দিয়ে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া পশুবোঝাই ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার হবে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। সভায় ফরিদপুর বাস মালিক সমিতি, রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভার ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদ পরবর্তী কাজে ফেরা যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগে ৫ দিন ও পরে ৫ দিন পদ্মা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে, ঈদের আগে ১৪ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মোট ৬ দিন দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, কাঁচামাল বাহী ট্রাক পার হতে পারবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। ঈদের সময় লঞ্চে কোন পণ্য পরিবহন করা যাবে না। দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর জন্য লাইটিং এর ব্যবস্থা রাখতে হবে, অস্থায়ী পাবলিক টয়লেট স্থাপন করতে হবে, মাতৃদুগ্ধের ব্যবস্থা থাকতে হবে। রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে এবং চারটি ঘাট সচল থাকবে। পশু বোঝাই ট্রাকের ঘাটে গিয়ে যেন অপেক্ষা করতে না হয় সে বিষয়ে নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘাটে চাঁদাবাজ, দালাল নির্মূলে ঘাট এলাকাসহ সড়কে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ভোগান্তিবিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। কোরবানি ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপের পাশাপাশি এবার পশুবাহী ট্রাক নদী পারাপার হবে। ফলে গত ঈদুল ফিতরে যেমন ঘাট দিয়ে মানুষ সহজ ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে। এবারের ঈদে প্রশাসনের নজরদারি সবসময়ই থাকবে।