ভিজিএফ এর চাউল বিতরণের অনিয়মের তথ্য জানতে চাওয়ায় রাজবাড়ীতে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে লাঞ্ছিত করেছেন মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ ওহিদুজ্জামান। সোমবার দুপুরে মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
লাঞ্ছিত সাংবাদিকরা হলেন, রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টাস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ইমরান হোমেন মনিম, ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক দৈনিক গণকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান ও দৈনিক সময়ের কাগজের জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের বাড়ান্দায় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামান সহ তার লোকজন নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন এবং অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পরিষদের বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়ে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিনিধি ইমরান হোসেন মনিমকে নিচে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডঃ খান মোঃ জহুরুল হক, সাধারন সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন, সহ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সৌমিত্র শীল চন্দন, রাজবাড়ী রুবেলুর রহমান, জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের সভাপতি হেলাল মাহমুদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি কবির হোসেন প্রমূখ।
মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিনিধি ইমরান হোসেন মনিম বলেন, তিনি সহ কয়েকজন সহকর্মী মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সগ্রহে যান। অনিয়মের তথ্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও তার সাথে সাঙ্গ পাঙ্গো তাদের ওপর চড়াও চন এবং এক পর্যায়ে পরিষদের বাড়ান্দা থেকে চেয়ারম্যান তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় তার সাথে থাকা সহকর্মীদের ওপরও হামলা করে তাদের কাছে থাকা একটি ক্যামেরা, একটি স্বর্ণের আংটি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, তিনি সাংবাদিকদের সাথে একটু উচ্চস্বরে কথা বলেছেন। তবে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ বা সাংবাদিকদের ধাক্কা দেন নাই।
মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ইতিপূর্বে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলার পক্ষ নিয়ে সদন দেওয়ার অভিযোগে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন।