মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

উদ্ভাবক ও গবেষক গৌতম কুমার রায়ের কাজের স্বীকৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
  • Update Time : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৭০ Time View

ক্যামিক্যাল পেস্টিসাইড পরিবেশ, প্রকৃতি, জীব তথা মানুষের জন্য আত্মঘাতী এক উপাদান। তা মাটি, জল, বাতাস, আলো, জীব ও জীবন এমনকি মানুষের ধ্বংসলিলা বা বড় বড় ও ভয়াবহ রোগের উপাদান। এই বিবেচনায় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে এক চিন্তা থেকে পরিবেশ ও মানুষকে রক্ষা করতে গৌতম কুমার রায় আবিস্কার করেন হারবাল পেস্টিসাইড। যা নিয়ে ঢাকার সাভারের জাহাঙ্গীর নগর

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম্মেসী ডিপার্টমেন্টে প্রফেসর ড. সোহেল রানার তত্বাবধানে শুরু হয় গৌতম কুমার রায়ের উদ্ভাবনী এক গবেষণা কার্যক্রম ।

গৌতম কুমার রায়ের মতে, ঐতিহাসিকভাবে ব্যবহৃত বাংলাদেশী ঔষধি উদ্ভিদ আতা গাছের পাতায়
জীবাণুরোধী এবং ফাইটোকেমিক্যাল কার্যকলাপ সম্পর্কে জানা পদ্ধতি শুকনো এবং চূর্ণ গাছের পাতা
বিভিন্ন দ্রাবক দিয়ে ভিজিয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য নমুনা নেয়া হয়। সমস্ত নির্যাস
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, ফিজিকোকেমিক্যাল এবং ফার্মাকোলজিকাল অনুসন্ধানের জন্য নির্বাচিত
হয়েছিল। ডিস্ক ডিফিউশন অ্যাস ব্যবহার করে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ক্রিয়াকলাপ মূল্যায়ন করা হয়
এবং ব্রোথ মাইক্রোডিলিউশন পদ্ধতিগুলি গ্রাম-পজিটিভ বা গ্রাম-নেগেটিভ প্যাথোজেনিক বন্য-
টাইপ ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে উদ্ভিদের নির্যাসের অ্যান্টিবায়োটিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল
কার্যকলাপের সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করা হয়। ফলাফল: প্রাথমিক ফাইটোকেমিক্যাল এবং
ফার্মাকোলজিকাল স্টাডি থেকে, এটা স্পষ্ট যে আতা পাতার সমস্ত নির্যাস, মিথানল, ক্লোরোফর্ম
এবং ইথাইল অ্যাসিটেট শক্তিশালী জৈব সক্রিয় উপাদান প্রক্রিয়াকরণে প্রমাণিত হয়েছে। যদিও
সমস্ত নির্যাসের মধ্যে ডিফারেনশিয়াল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, মেথানোলিক
নির্যাসটি সমস্ত পরীক্ষিত অণুজীবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। এটি ই. কোলাইতে
অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকলাপকেও শক্তিশালী করেছে। উপসংহার: উদ্ভিদের নির্যাসের জৈব
সক্রিয় উপাদানগুলিকে ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল কার্যকলাপের অধিকারী
দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়ী
রাসায়নিক উপাদানগুলিকে আলাদা করার জন্য আরও গবেষনা প্রয়োজন।

এই গবেষণা আরও প্রাণান্ত ও বাস্তবমুখী করতে গবেষক দলে যুক্ত হয় ফার্মেসি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, রসায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এবং মৎস্য বিভাগ, বাংলাদেশ এর প্রফেসর ড. সোহেল রানা, গৌতম কুমার রায়, মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন, আসিফ শাহারিয়ার, হালিমা জাহান মিম, বিবি খাদিজা পাপিয়া, ফয়জানুর রব সিদ্দিক, আহনাফ বিন আর কিউ খান, রাহাতুল ইাসলাম এবং নূর ফাতেমা, আনোয়ার পারভেজ।

সন্দিগ্ধ গবেষণাটি ২০১২ খ্রিস্টাব্দে সম্পাদনা করা হয়। দীর্ঘ পরিমার্জন ও পরিবর্ধন শেষে গত ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে CHEMISTRY & amp; BIODIVERSITY : ২১, সংখ্যা :

৩/ব২০২৩০১৪৯৫. প্রথম প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারী ২০২৪। আন্তর্জাতিক জার্নালে তা প্রকাশিত হয়। গবেষনা প্রবন্ধ “বর্ধিত অ্যান্টিবায়োটিকের জন্য রেটিকুলাটার বায়োঅ্যাকটিভ আর্সেনাল উন্মোচন করা” শিরোনামে প্রকাশিত হয় ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com