রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দায় স্বর্ণা বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে। স্থানীয় লোকজন সোহেল মিয়াকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সোহেল রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর এলাকার বাসিন্দা। পেশায় সে পরিবহন শ্রমিক বলে জানা গেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত স্বর্ণা সজ্জনকান্দা গ্রামের মৃত মো. কাইল্যার মেয়ে।
জানা গেছে, এক বছর তিন মাস আগে স্বর্ণা ও সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নানা কারণে তাদের পরিবারে অশান্তি বিরাজ করছিল। প্রথম রমজানের দিন সোহেলের মা স্বর্ণাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। তারপর থেকে স্বর্ণা সজ্জনকান্দায় তার মায়ের ভাড়া বাসায় থাকতো। সোমবার দুপুরে সোহেল ওই বাসায় আসে। দুপুরের খাবারের পর সোহেল ও স্বর্ণা ঘরের দরজা বন্ধ করে কথা বলছিল। তারা ঘরের বাইরে ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ পরে তাদের দুজনের কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। একারণে বাইরে থেকে ডাক দেন। বেশ কয়েক বার ডাকাডাকির পর সোহেল দরজা খোলেন। তারা দেখতে পান স্বর্ণা বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ওই সময় সোহেল চলে যেতে চাইলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে রাখে। স্বর্ণাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অনিক দাস জানান, স্বর্ণা বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের নাকে রক্ত, গলায় ও শরীরে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এব্যাপারে মঙ্গলবার একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। নিহতের মরদেহ মঙ্গলবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।