মার্চ মাস বাঙালী জাতির গর্বের মাস। যে মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলার জনগণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলাকে তথা বাংলাদেশকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলার ছোট ছোট শিশুদের সঠিক ইতিহাস জানার লক্ষ্যে রাজবাড়ীর দোলনচাঁপা সঙ্গিতাঙ্গন ৯ মার্চ শনিবার এক গীতি আলেখ্য- ইতিহাস কথা কয় অনুষ্ঠান আয়োজন করে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলার মিলনায়তনে। যেখানে ১৭৫৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ইতিহাস আনা হয় গীতি আলেখ্যর মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জয়ন্তী রায় রূপা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাজবাড়ী, সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার রাজবাড়ী, কবি সালাম তাসির সভাপতি মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদ রাজবাড়ী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তপন কুমার দে। সঞ্চালনায় ছিলেন শ্যামা রানি দে।
সাংস্কৃতিক পর্বে ছিলেন ঢুলিতে পলাশ, অক্টোপ্যাডে তন্ময় দে, মূল গায়েন গোয়ালন্দ দোলনচাঁপার পরিচালক নূরুল হক মিলন সহ দোলনচাঁপা সঙ্গিতাঙ্গনের শিল্পীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জয়ন্তী রূপা রায় বলেন, আমি দেখেছি সবাই একই ধরণের সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান করে কিন্তু দোলনচাঁপা যে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করলো তা সত্যি অন্যরকম। আমি মুগ্ধ। মুগ্ধ হয়ে দেখেছি ছোট ছোট শিশুদের নিখুঁত অভিনয় যেখানে ছিল শিল্পের ছোঁয়া।
বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, শিশুরা যেভাবে যুদ্ধের অভিনয় করলো তা দেখে আমি ঐ মুহূর্তে চলে গিয়েছিলাম ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধক্ষেত্রে। এমন প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান আয়োজন শুধু দোলনচাঁপা নয় সবাইকে বলবো বাংলার সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে এই রকম অনুষ্ঠান করতে হবে। এই অনুষ্ঠান থেকেই আমাদের শিশুরা বাংলার সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দেখছি তপন কুমার দে সংস্কৃতিটাকে বাঁচিয়ে রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। শ্যামা রানি দে তার সাথে যুক্ত হতে পেরেছে বলেই এমন সুন্দর গীতি আলেখ্য উপহার সম্ভব হয়েছে।