আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। সুদীর্ঘকালের আপসহীন আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এ দিন লাখ মুক্তিকামী জনতার উপস্থিতিতে জাতির অবিসংবাদিত মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, “রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ্, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্র্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর আহ্বানে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় বীর পুলিশ সদস্যরা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের শুভ সূচনা ঘটায়। পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ২০১৭ সালে ইউনেস্কো “ডকুমেন্টারী হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ত্যাগ এবং তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত অসাম্প্রদায়িক ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করব। আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
জি. এম. আবুল কালাম আজাদ পিপিএম
পুলিশ সুপার
রাজবাড়ী।