রাজবাড়ী কালেক্টরেট স্কুলের উদ্যোগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুখরোচক খাবার হিসেবে পিঠার স্বাদ গ্রহণ ও জনসমক্ষে একে আরো পরিচিত করে তুলতে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। লোকজ এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে বাঙালির পিঠা পার্বণের আনন্দধারায় আয়োজন করা হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।
বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্লেটে থরে থরে সাজানো নানান স্বাদের হরেক রকমের পিঠা। এর মধ্যে ছিল চিতই, ভাপা, ডিম পিঠা, পুডিং, দুধ মালাইকারী, পাকন, নকশি, পাটি সাপটা, পুলি, দুধ পুলি, মুগ পাকন, ভাইয়া পিঠা, গোলাপ নকশি, ভেলান ইত্যাদি। যেসব তৈরি করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান পর থেকে আমরা চেষ্টা করে চলেছি আমাদের মূল ঐতিহ্যকে ধারণ করা। ছোটবেলায় যখন লেখাপড়া করেছি তখন স্কুলে যাওয়া আমাদের জন্য আনন্দের ছিল। স্কুল ছিল বাড়ি থেকে অনেক বেশি আনন্দের। যুগের পরিবর্তনে বা যে কোনো কারণেই হোক সে জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়েছি। কিন্তু কালেক্টরেট স্কুল সে ধারা অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আনন্দময় পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পিঠা উৎসব তারই একটি অনুষঙ্গ।
এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রানী সাহা, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জয়ন্তী রূপা রায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্র্তা শোভন রাংসা, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী জিনাত আফরিন, পুলিশ সুপারের সহধর্মিনী হালিমা আকতার শিরীন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান শিক্ষক সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।