দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন রাজবাড়ীর শামীমা আক্তার মুনমুন। পেশায় কলেজ শিক্ষক শামীমা আক্তার মুনমুন। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বারের মেয়ে। শামীমা আক্তার মুনমুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ীস্থ ডা. আবুল হোসেন কলেজে সহকারী অধ্যাপক ও দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তার মাতা শরীফা বেগম শিক্ষক (অব.) একজন জয়িতা ও পদকপ্রাপ্ত সমাজকর্মী।
শামীমা আক্তার মুনমুন বলেন, “জাতির জনকের সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এটাই আমার আবেদন যে, দেশের সকল উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ চাই। আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। দেশ ও দশের কাজে শ্রম মেধা ও সময় বিনিয়োগ করেছি। আমি আপনাদের দোয়ায় সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেলে দেশের উন্নয়নে সার্বিকভাবে আত্মনিয়োগ করতে পারবো ইনশাল্লাহ। সকলের প্রতি সশ্রদ্ধ ধন্যবাদ ও বিনম্র কৃতজ্ঞতা রইল। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।
শামীমা আক্তার মুনমুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। রাজবাড়ী আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মিছিল ও সমাবেশে কর্মী হিসেবে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য। বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম (আসাফো)’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল উন্নয়ন কর্মসূচি প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখেন তিনি। দুস্থ ও গরীব দুঃখী মানুষের সার্বিক সহায়তা দিতে সার্বক্ষণিক কাজ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ। দেশের উন্নয়নে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছেন।
১৯৭১ সালে ২১শে এপ্রিল পাক হানাদারবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ হন শামীমা আক্তার মুনমুনের দাদু ফকীর মহিউদ্দিন। বড় ভাই ড. ফকীর শহিদুল ইসলাম সুমন কলকাতা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চাঙ্গ সংগীত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, বর্তমানে সরকারি সংগীত কলেজ ঢাকায় অধ্যাপনা করছেন। ছোট ভাই চাকুরিজীবী ও সংস্কৃতিকর্মী ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। জমজ কন্যা এরিন ও কুইন দু’জন শিল্পী ও কৃতি ছাত্রী। শামীমা আক্তার মুনমুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ ও ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় রাজবাড়ী জেলায় কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদা অর্জন করেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজবাড়ী জেলায় জয়িতা পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি নিজেও একজন উদ্যোক্তা, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী, সাংবাদিক এবং সংস্কৃতিসেবী। তিনি সমাজকর্মের উপর সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে নানাবিধ প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং বিভিন্ন পর্যায়ে পুরস্কার অর্জন করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত রয়েছেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজবাড়ী জেলা ইউনিটের সাবেক নির্বাচিত সেক্রেটারি। করোনা মহামারিতে একজন সম্মুখসারির স্বেচ্ছাসেবী ও মানবতা কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার নিজের ও তার কন্যার ৫টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে তার লেখা গানের সিডিও প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকা, স্পেন, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও লন্ডন ভ্রমণ করেছেন তিনি। বাংলাদেশে রবীন্দ্র শিক্ষাদর্শন ও প্রয়োগবাদী শিক্ষাদর্শন তার কর্মক্ষেত্রের অনেকাংশ জুড়ে রয়েছে। তৃণমূল মানুষের জন্যে বিশেষ করে অবহেলিত নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্বেচ্ছাশ্রমে নিরলস কাজ করে চলেছেন শামীমা আক্তার মুনমুন। তার ছোট কন্যা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুরের শিক্ষার্থী ‘কুইন’ প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় দুইবার জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর মর্যাদা অর্জন করেছে।