কালবৈশাখী ঝড়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এসময় ৩টি ফেরি মাঝ নদীতে ডুবোচরে আটকা পড়ে। এতে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি হয়।
বুধবার সকাল ৬টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি সহ সকল প্রকার নৌযান দেড় ঘণ্টা বন্ধ রাখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঝড়ের গতি কমে আসায় পুনরায় ফেরি সহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল শুরু করা হয়।
এদিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া পারে ৭টি ফেরি ঘাটের মধ্যে ৪টি বিকল রয়েছে। মাত্র ৩টি ঘাটের পল্টুনে ফেরি ভিড়তে পারে।
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঝড়ের কারণে নদীতে তীব্র ¤্রােত থাকায় ২টি ড্রাম ফেরি পাটুরিয়া ঘাটের নোঙ্গর করে রয়েছে। মাত্র ১১টি রোরো (বড়) ও ৫টি ইউটিলিটি (ছোট) সহ মোট ১৬টি ফেরি স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করছে। হঠাৎ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সংকট ও ঝড়ের কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীবাহী পরিবহন ও পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের সরকারী ওয়াজেদ চৌধরী পলিটেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের একাধিক সারি রয়েছে।
এসময় যাত্রীবাহী পরিবহনের ঘাট সুপারভাইজার কালাম বলেন, ঘাটের দুর্ভোগ শেষ হয়েও হচ্ছে না। কখনও ঘাট সংকট, কখনও ফেরি সংকট। সংকট লেগেই আছে। তিনি বলেন, ঈদের আগে দৌলতদিয়া ঘাটের দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পাবে যদি ফেরি ঘাট ও ফেরি বৃদ্ধি না করা হয়।
যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহনের ররিশাল থেকে ঢাকাগামী নুরজাহান নামের এক যাত্রী বলেন, ৪ঘন্টার বেশি সময় অপেক্ষায় আছি। বরিশাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে আসতে যে সময় লেগেছে। দৌলতদিয়া ঘাটে সেই সময় অপেক্ষায় আছি ফেরির জন্য। তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের এমন দুর্ভোগ বছরের পর বছর চলছে। এই দুর্ভোগের স্থায়ী কোন সমাধান আজও পর্যন্ত নেইনি দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগন।
অপচনশীল পন্যবাহী ট্রাক চালক ইকবাল হোসেন জানান, ২/৩ দিন যাবৎ প্রতিনিয়ত যানজটের কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে হয়। দীর্ঘসময় ফেরি পারের অপেক্ষায় থেকে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়। দৌলতদিয়া ঘাটে গুরুত্বপূর্ন কর্মঘণ্টা অপচয় করতে হয়।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা বন্দরের উপপরিচালক খালেদ নেওয়াজ জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। দেড় ঘণ্টা পর ঝড়ের গতি কমে আসায় পুনরায় শুরু করতে হয়। এতে উভয় ঘাটে কিছু বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ফেরি পারের অপ্ষোয় রয়েছে।