শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন

ডা. পাতার প্রথম স্ত্রী মিনজুয়ারা বেগমের দাবি, তিনি ডিভোর্স প্রাপ্ত নন

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
  • Update Time : রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪০৮ Time View

সাবেক সিভিল সার্জন ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত ডা. এ.এফ.এম শফীউদ্দিন পাতার প্রথম স্ত্রী মিনজুয়ারা বেগম দাবি করেছেন তিনি ডিভোর্স প্রাপ্ত নন। ১৯৭৯ সালের ৮ নভেম্বর দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে মুসলিম নিয়ম অনুসারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলেন। মিনজুয়ারা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমরা ডা. পাতার কর্মস্থল পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি কোয়াটারে বসবাস করতাম। আমাদের সংসারে ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। ২০০০ সালে আমার নিকটাত্মীয়দের ষড়যন্ত্রে আমার সুখের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। ১৩/০৫/২০০০ ইং তারিখে আমার স্বামী ডা. পাতা দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য আমাকে চাপ সৃষ্টি করে এবং সর্বশেষ তালাকের নোটিশ পাঠায়। আমিও তার বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতে মামলা (নং ২১/২০০১) দায়ের করি। আমি পারিবারিক শান্তি রক্ষা এবং সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ডা. পাতার দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি জ্ঞাপন করি। আইনজীবীগণ, পারিবারিক আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে ডিভোর্সের নোটিশ প্রত্যাহারপূর্বক সকল মামলা মীমাংসা করে আমাদের সংসার জীবন যাপন পরিচালনা করি। মীমাংসার পর আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডা. পাতা আমাদের সাংসারিক খরচের জন্য সোনালী ব্যাংক খোকসা শাখার অনুকূলে টাকা পাঠাতেন। আমি তখন থেকে অধ্যবধি খোকসাতে বসবাস করছি। আমি ডিভোর্স প্রাপ্ত নই। আমার স্বামী ডা. পাতা তার অকাল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের খোকসার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন এবং অভিভাবক হিসেবে সকল দায়িত্ব পালন করতেন। আমি কখনও আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের অমঙ্গল কামনা করিনা। কারণ আমার সম্মতিতেই তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ৩/৮/২০২১ তারিখে আমার স্বামী ডা. পাতার অকাল মৃত্যুতে আমরা উভয় পরিবার অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছি। এ শূন্যতা দূর হবার নয়।

কিন্তু আমার স্মামী ডা. পাতার অকাল মৃত্যুর পর আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন সময়ে কে বা কারা আমার মতামত ছাড়াই অনলাইনে বা ফেসবুক পেজে আমাকে ডিভোর্স প্রাপ্ত বলে অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশ করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ আমার পারিবারিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে। ডা. পাতার অকাল মৃত্যুর পর আমি তার স্ত্রী হিসেবে আমার স্বামীর সকল সম্পত্তির বৈধ ওয়ারিশদার আছি। আমার স্বামীর অকাল মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আমাদের উভয় পরিবার আজ অভিভাবক শূন্যতায় উদ্বিগ্ন। এই দুঃসময়ে আমাকে ডিভোর্স প্রাপ্ত হিসেবে উল্লেখ করে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশ করায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ভবিষ্যতে কেউ আমাকে ডিভোর্স প্রাপ্ত ও অসত্য তথ্য সম্বলিত মিথ্যা মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি করলে আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com