রাজবাড়ী-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপুর ছবি সম্বলিত উন্নয়ন চিত্রের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধারে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সামনে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ছুঁটে চলছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু। তার উদ্যাগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সমগ্র রাজবাড়ীর জেলার কালুখালী, বালিয়াকান্দী ও পাংশা উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ফেস্টুন লাগানো হয়। সেই ব্যানার ফেস্টুন রাতের আধারে কে বা কারা ছিড়ে ফেলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপুর সৌজন্যে জেলার পাংশা কলেজ চত্তর, পাংশা আজিজ সরদার বাসষ্ট্যান, মৈশালা বাসষ্ট্যান সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ছবি সম্বলিত কয়েকটি বিলবোর্ড ব্যানার টানাানো ছিলো। ব্যানার টানানোর একদিন পরেই দেখা যায় কে বা কারা যেন ব্যানারটি ছিড়ে ফেলেছে। এছাড়াও কালুখালী আর্চ ব্রিজ, গান্ধীমাড়া বাজার সহ বালিয়াকান্দির বিভিন্ন জায়গায় টানানো ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে।
দলীয় নেতা-কর্মীরা ক্ষোভের সাথে জানান, কোন সুস্থ মানুষ এমন কাজ করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হলেও রাতের আঁধারে যারা কাজটি করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটবে।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখনো ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে জামাত বিএনপির মদদপুষ্ট পেতাত্মা লুকিয়ে আছে। তাঁরা কখনো সরকারের ভালো চায় না। এদেরকে যারা মদদ দিচ্ছেন তারাই এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে। এদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। অবশ্যই তাদেরকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন সম্বলিত ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা আইন বিরোধী। প্রশাসনের কাছে দাবি রাখি যারা এ কাজের সাথে জড়িত দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানাই। এবং রাতের আধারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের ফেস্টুন ছিড়ে তুলে নিয়ে যায়। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।