জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে।
জানা গেছে, প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় পৌর জামতলা বাজারের মান্নান মাস্টার ফার্মেসীকে পাঁচ হাজার টাকা, মেসার্স মন্ডল ফার্মেসীকে দুই হাজার টাকা, (দৌলতদিয়া বাজারের মেসার্স সজীব ড্রাগ হাউসকে (দুই হাজার) টাকা এবং প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় পল্লীবন্ধু ফার্মেসীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, রাজবাড়ীর সার্বিক নির্দেশনায় রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় কর্তৃক রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা বাজার ও দৌলতদিয়া বাজার এলাকায় বিভিন্ন নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, ফার্মেসী ও ঔষধ সামগ্রী বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে নিষিদ্ধ পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রয়রোধ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ রোধসহ, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করাসহ ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও নির্ধারিত নিত্য পণ্যের মূল্য যথাযথভাবে বিক্রয় সঠিকতা যাচাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয় এবং সরকার নির্ধারিত বিধির অধীন যথা নিয়মে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য সতর্ক করা হয়। উক্ত কার্যক্রম পরিচালনাকালে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত বিভিন্ন অপরাধে যথাক্রমে; ০৪ (চার) টি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। উপজেলা প্রশাসন গোয়ালন্দ উপজেলা রাজবাড়ী ও জেলা চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ এর সহায়তায় এবং জেলা ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দ ও জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর রাজবাড়ী- এর অংশগ্রহণে উপর্যুক্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। জনস্বার্থে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।