রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সুমন (সবুজ)কে নিজ ঘরের জানালা দিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় র্যাব-৮, ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাচরন্দি গ্রামের মোঃ সামু মোল্লার ছেলে মোঃ হালিম মোল্লা (৩০), মাটিখোলা গ্রামের মোঃ মহন মোল্লার ছেলে মোঃ বক্কার মোল্লা (৩৫)। সোমবার রাত ৩ টার সময় রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাচরন্দি ও মাটিখোলা গ্রাম এলাকা থেকে র্যাব-৮ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহমুদুল হাসান, পিবিজিএম, পিএসসি বলেন, এর আগে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল ইসলাম ওরফে যুবরাজের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। তার ভিত্তিতে র্যাব-৮, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এবং সিনিয়র এএসপি মোঃ নাজমুল হকের নেতৃত্বে মোঃ হালিম মোল্লা ও মোঃ বক্কার মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। পরে তাদের রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের শামসুল আলম শেখের ছেলে বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সুমন (সবুজ)কে তার বাড়ীর ঘরের মধ্যে গুলি করে সন্ত্রাসীরা । ওই দিনই রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ সুমন (সবুজ) মারা যান। এ সময় নিহত সবুজের বন্ধু সজীব শেখ গুলিবিদ্ধ হয়, তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের বাবা সামছুল আলম বাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ রাজবাড়ী সদর উপজেলার হাউলি জয়পুর এলাকার মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম যুবরাজ (২১) ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোপালবাড়ী গ্রামের মোঃ দিরাজ আলী শেখের ছেলে পশু চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা শেখ ওরফে নিজাম (৩৪)কে গ্রেপ্তার করে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে ২ আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ২ জনসহ মোট ৪ আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যান্য আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।