আজ ২৫মার্চ ভয়াল সেই বিভিষিকাময় ‘গণহত্যা’ দিবস। ২৩ বছরের দমন পীড়ন শোষণ-শাসন পেড়িয়ে অত্যাচরের সীমাস্থলনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ই মার্চের ভাষণে যখন স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বাংলার জনতাকে অগ্নীস্ফুলিঙ্গে ঢেউ তুলেছিলেন, সেই ঢেউয়ে তোরপাড় হওয়ার ভয়ে কাপুরুষের মত রাতের আধারকে সুসময় মেনে হায়েনারা অপারেশন সার্চলাইটের বিভিষিকাময় কালরাত্রির হত্যা লীলায় ঝাপিয়ে পড়েছিলো। নিরস্ত্র বাঙালীদের নিশ্চিহ্ন করতে রাজধানী ঢাকার পিলখানা, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা রাজপথে ফেলেছিলো লাশের সারি। যার ঢেউ পড়েছিলো সারা দেশে। সারাদেশ ব্যাপী নিরস্ত্র বাঙালী হয়েছিল শহীদ। যার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাঙালীদের উজ্জীবিত করেছিলেন মুক্তির সংগ্রামে। আজকে ভয়াবহ ও বিভিষিকাময় সেই দিনকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। পাকিস্তানী বেনিয়ারা আজ নেই । কিন্তু এই গণহত্যায় যে অন্যায় তারা সম্পৃক্ত হয়েছিলো নতুন প্রজন্ম কী মেনে নিবে তাদের সেই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। রাও ফরমান আলীরা আজ নেই। কিন্তু বিশ্ব সভ্যতার দুয়ারে কোন জবাব তাদের অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে নেই। ওরা ঘৃণ্য বর্বর আর নরপশু। বাংলা আজ একটি দেশ নয় একটি উদাহরণ। এই বাংলার প্রান্তে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্য আর নির্দেশনা হোক আমাদের প্রেরণা। বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে তারই দেখানো পথে গড়ছেন দেশ মাতৃকাকে। আজ আমরা তার সহযাত্রী। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক বাংলার মেহনতি মানুষের।
আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী
মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, রাজবাড়ী-১ ও
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।