দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর শনিবার বেলা ১১ টায় কুয়াশা কেটে গেলে পুনরায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ ফেরি বন্ধের কারণে ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে তিন থেকে চার শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন। এর মধ্যে যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি মালবাহী ট্রাকের সংখ্যায় বেশি। এতে প্রচন্ড শীতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে সকাল ১০টায় ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা। পুরো নদীতে ঘিরে রয়েছে কুয়াশার আবরণ। ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের দৌলতদিয়া পরিবহনের টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই লাইনে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকের সাড়ি সৃষ্টি হয়েছে। আটকে পড়া যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।
বিআইডব্লিউটিসি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘন কুয়াশায় রাত ১টার পর পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ৩টি ফেরি কুয়াশার ঘনত্বের কারণে মাঝ নদীতে নোঙর করে। দৌলতদিয়া ঘাটের সিরিয়ালে আটকে থাকা কুষ্টিয়া হতে আগত ট্রাক ড্রাইভার আনোয়ার মোল্লা বলেন, রাত দেড়টা থেকে ঘাটে আটকা পরে আছি। ঘন কুয়াশায় হঠাৎ ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নদী পার হতে পারিনি। ফেরি বন্ধ থাকায় আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। সময়মত মাল ডেলিভারি দিতে পারলাম না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে শুক্রবার রাত ১টা থেকে পদ্মা নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে শনিবার বেলা ১১টা থেকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এ নৌপথে ছোট-বড় ১১টি ফেরি চলাচল করছে।