প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২২ উপলক্ষে ঢাকা বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কেকেএস শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার। উল্লেখ্য দৌলতদিয়া অঞ্চলের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর শিশুসহ পথশিশু, শ্রমজীবিশিশু, অসহায় ও শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ১৯৯৪ সালে তিনি কেকেএস শিশু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে বিদ্যালয়টি এখন জেলার অনুকরনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আতœপ্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে রাজবাড়ী জেলার শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগনসহ জেলা প্রশাসক, সচিব, জাতীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রীগন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। অন্যান্য বিদ্যালযের ছাত্র-ছাত্রীরাও এ বিদ্যালয়ে শিক্ষাসফরে এসে জ্ঞান অর্জন করছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম শতভাগ সফল করতে বিদ্যালয়টি ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৭৩৭ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ৪ জন সরকারি শিক্ষকের পাশাপাশি ১১ জন বেসরকারি শিক্ষক বিদ্যালয়টিতে পাঠদান করেন, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতির হার ৯৬ শতাংশ। শুরু থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টির সমাপণী পরীক্ষায় পাশের হার ১০০%, প্রতি বৎসর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। স্কুলটির সকল শ্রেনীকক্ষ বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসে রূপান্তরিত হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি সেভ দ্য চিলড্রেনসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বিদ্যালয়টিতে উন্নয়ন সহায়ক হিসাবে ব্যাপক কর্মকান্ড করে থাকেন।
ইতিপূর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২২ এর জেলা পর্যায় থেকে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার কে নির্বাচিত করা হয়। এই মহৎ ব্যক্তি রাজবাড়ী জেলায় ৩০টিরও বেশী প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সমাজের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। জেলার শিক্ষা প্রসারে তিনি সব সময় নিপীড়িত, নির্যাতিত, লাঞ্চিত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে নিজেকে তাদের নির্ভরতার প্রতিক হিসাবে প্রমান করে আসছেন।