শারদীয় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন মহানবমী। দিনটি শুরু হয়েছে দেবী দুর্গার মহানবমী বিহিত পূজা দিয়ে। নবমীর পূজা শেষ হওয়ার পর থেকেই দেবী বিদায়ের সুরে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে রাজবাড়ীর প্রতিটি পূজামন্ডপের দর্শনার্থীরা। কারণ কালই পরদিনই দশমী। এ দিনে এ মর্ত ছেড়ে বিদায় নেবেন দেবী দূর্গা।
নবমীর দিনে বিশেষভাবে যজ্ঞের আয়োজন থাকে। পূজার অঙ্গ হিসেবে ১০৮টি বেলপাতা, আম কাঠ ও ঘি ব্যবহার করে দেবীর উদ্দেশ্যে আহুতি প্রদান করা হয়।
বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে নবমীর সকালে দেবীর মহাস্নান এবং ষোড়শ উপাচারে পূজা সম্পন্ন হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে মহাআরতি। মন্ডপের পুরোহিতদের মতে, মহানবমীতে ভক্তদের দেওয়া ষোড়শ উপাচারের পাশাপাশি ১০৮টি নীলপদ্ম, নীলকণ্ঠ ফুল, নীল অপরাজিতা ও যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে পূজা নিবেদন করা হবে।
মন্ডপ ঘুরতে আসা দর্শনার্থী অনুপ কুমার দাস ও অরুপ কুমার প্রামাণিক বলেন, মহানবমীর আরাধনায় বিশেষ তাৎপর্য থাকলেও এটি পূজার বিদায়বেলার দিন, যা আনন্দের সঙ্গে বেদনারও বার্তা আনে। আগামীকাল বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
চাঁদপুর সার্বজনীন দূর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে বিধান কুমার বিশ্বাস বলেন, দেবী দূর্গা মাতার আগমনে আমরা শান্তি, সম্প্রীতি ও মঙ্গল কামনা করি। এই পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আমাদের সর্বজনীন মিলনমেলা, যেখানে সবার মাঝে আনন্দ, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় হয়। আমরা বিশ্বাস করি, দেবী দুর্গার আশীর্বাদে অসুরের বিনাশ ঘটবে, অশুভ শক্তির অবসান হবে এবং সত্য, সুন্দর ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আজকের এই মহা অষ্টমীর পবিত্র দিনে আমরা সবাই মিলে শপথ করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলাদেশে যেন চিরকাল শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন অটুট থাকে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের চন্দনী ঠাকুর বাড়ি সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বাবু কার্ত্তিক চন্দ্র দাস বলেন, ঐতিহ্য বহন করে আমাদের এ মন্দিরে জাঁকজমক ভাবে দূর্গা পূজা অর্চনা করা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তবৃন্দের পদভারে মুখরিত হয় উৎসব অঙ্গন।