রাজবাড়ীর পাংশায় আলোচিত সেই গৃহবধূ দীপা রানী পালের (২২) আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে পাংশা পৌর শহরের মৈশালা পালপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করে দীপা রানীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে দীপা রানী পালের স্বামী মিঠুন পাল বলেন, গত ১১ জুন বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমার স্ত্রী দীপা কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারারাত খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাইনি। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মৈশালা মৈত্রডাঙ্গী গ্রামের সালাম, শাহাদত ও মাসুদ আমার স্ত্রীকে বাড়ি দিয়ে যায়। পরে আমার স্ত্রীর কাছে জানতে পারি সালাম, শাহাদত ও মাসুদ তাকে কালুখালীর হাতির ঝিল এলাকায় একটি বাড়িতে আটকে রেখে তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয় এবং তার সাথে ধস্তা-ধস্তি করে। এতে আমার স্ত্রীর হাতের শাঁখা ভেঙে যায়। এছাড়াও আমার স্ত্রীর সাথে অসদাচরণ করেন এবং সারারাত পার করে ভোরে বাড়িতে দিয়ে যায়। পরে আমার স্ত্রী ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটানায় আমার শ্বশুর বাদি হয়ে ১৩ জুন পাংশা মডেল থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। এ ঘটনার ১৩ দির পার হয়ে গেলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর আত্মহত্যার জন্য দায়ী আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি এবং বিচারের দাবি জানাই।
দীপা রানীর শাশুড়ি বলেন, ওই দিন রাতে আমার বউমার সাথে খুব খারাপ আচরণ করা হয়েছে। আমি বউমার আত্মহত্যার জন্য দায়িদের গ্রেপ্তার করা হোক।