রাজধানী ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে মো. আব্দুল্লাহ বাবু নামে এক ব্যক্তির চোখ হারান। এ ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৮৪ জনের নাম উল্লেখসহ মামলা দায়ের করা হয়। ৮৪ জন আসামির মধ্যে দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি মো. শামীম হোসেনকে ৫৮নং আমামি করা হয়েছে। মো. শামীম হোসেন পাংশা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে মামলায় কাদের আসামি করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় পুলিশের গুলিতে মো. আব্দুল্লাহ বাবু নামের এক ব্যাক্তি আহত হয়। এ ঘটনায় আহত আব্দুল্লাহ বাবুর বাবা আব্দুল বারিক শেখ বাদী হয়ে ৮৪ জনকে আসামি করে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি দায়ের করেছেন।
সাংবাদিক মো. শামীম হোসেন বলেন, আমি একজন সংবাদকর্মী। আমি দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার পাংশা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছি। আমাকে যুবলীগ নেতা হিসেবে আখ্যা দেওয়াা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি কখনোই কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না বর্তমানেও নেই। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ঢাকায় অবস্থান করি নাই। আমি আমার কর্মস্থল পাংশায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করেছি। উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
পাংশা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এম.এ জিন্নাহ বলেন, শামীম হোসেনকে ঢাকার একটি রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এ মামলা থেকে মো. শামীম হোসেনকে অব্যাহতি প্রদান করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
আব্দুল বারিক শেখের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয় এ প্রতিনিধির। জানালেন, তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক। তার ছেলে আব্দুল্লাহ বাবু (২২) প্রাইমারী পর্যন্ত পড়েছে। সেও মাঝে মধ্যে গাড়ি চালাতো। এখন সে (বাবু) চিকিৎসাধীন। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি মোবাইলে কিছু বলতে পারব না। আমার বারণ আছে। সাংবাদিক শামীম তাকে ফোন করেছিলেন। তার সাথে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।