বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম, খুন, হত্যা ও মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানোর পাশাপাশি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করেছে।
শুক্রবার বিকেলে বরাট ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত উড়াকান্দা ফুটবল মাঠে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। আজ আল্লাহ, দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে সম্মান বেগম খালেদা জিয়াকে দিয়েছে তা নজিরবিহীন। অথচ শেখ হাসিনা গুম, খুন, হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা কোন কথা বলতে পারিনি, শেখ হাসিনা আমাদেরকে কথা বলতে দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের আমল থেকেই দেশে অরাজকতার সূত্রপাত হয়। তার মেয়ে শেখ হাসিনাও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছিল। দেশ ছেড়ে পালিয়ে তার খেসারত দিয়েছেন।
জনসভায়, বরাট ইউনিয়ন বিএনপি ও বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী সামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বরাট ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ও বিএনপি নেতা ইউসুফ মোল্লার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নঈম আনসারী, সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, যুগ্ম আহবায়ক গাজী আহসান হাবীব, আকমল হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এ সবুর শাহীন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক এ মজিদ বিশ্বাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রইচ উদ্দিন ডিউক, সাবেক সদস্য ও চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মালেক শিকদার, সদস্য ও গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান নুর ইসলাম মুন্নু মোল্লা, জেলা যুবদলের সভাপতি খায়রুল আনাম বকুল, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আইয়ুবুর রহমান আয়ুব, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল গফুর মন্ডল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুমকুম নজরুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব কাজী মিজানুর রহমান পলাশ, গোয়ালন্দ উপজেলা দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, বরাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দিরাজ আলী শেখ, বিএনপি নেতা ইউনুস হোসেন টিক্কা, বরাট ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সাচ্চু বিশ্বাস প্রমুখ।