রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ হত্যা মামলার এক আসামিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। তার হেলাল মোল্লা। সে গোয়ালন্দ উপজেলার কাশিমা গ্রামের মুন্তাজ মোল্লার ছেলে। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৩০ আগস্ট তারিখে আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তার ভ্যান ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হেলাল মোল্লার আপন ছোট ভাই হারুন শ্বশুর বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করত। ভিকটিম আলমগীর কবির রসুলপুর বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। সেই সুবাদে ভিকটিম আলমগীর কবির এর সাথে আসামী হারুন মোল্লার পরিচয় হয়। গত ৩০ তারিখ হারুন ও ভিকটিম আলমগীর নিজ বাড়ী থেকে পাসপোর্ট করার জন্য ফরিদপুর শহরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। বেলা ১টার দিকে পরিবারের লোকজন ভিকটিম আলমগীর কবির এর মোবাইল বন্ধ পায়। হেলাল মোল্লা বিকালে তার নিজ বাড়ীতে ঘুমিয়ে ছিল। ওই সময় হারুন তাকে ঘুম থেকে ডেকে রাস্তার উপর নিয়ে আসে। তখন অটোর মধ্যে পিছনের সিটে ভিকটিম আলমগীর কবির অজ্ঞান অবস্থায় বসা ছিল। হারুন হেলালকে বলে ওকে ধর ঘরে নিয়ে যাই, সে অসুস্থ্। তখন হেলাল ও হারুন ভিকটিম আলমগীরকে হেলালের ঘরে নিয়ে চৌকির উপর শোয়ায়। একপর্যায়ে হেলাল হারুনকে জিজ্ঞাসা করে কে উনি। হারুন জানায় যে, নাম আলমগীর, বাড়ি নগরকান্দায়, ওকে মেরে ফেলতে হবে, না মারলে আমাকে মেরে ফেলবে। সেই মোতাবেক হেলাল ও হারুন একটি ভ্যান ভাড়া করে নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হারুন তার ভাই হেলাল এর ঘর থেকে বটি ও একটি ওড়না নিয়ে আসে। হেলাল ভ্যান চালিয়ে আলমগীরকে হত্যা করার জন্য তাহাকে নিয়ে জমিদার ব্রীজ, বেড়িবাধ ও বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২ ঘন্টা ঘোরাঘুরি করে কোথাও সুযোগ না পেয়ে বটতলা হইতে পেয়ার আলী মোড়ে যাওয়ার রাস্তায় জনৈক কাদের এর কলাবাগানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানেই আলমগীরকে হত্যা করে।