সম্প্রতি বালিয়াকান্দিতে ভারি বর্ষণে আগাম সবজি কফি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ মৌসূমে তাদের পক্ষে উক্ত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেনা বলে মনে করছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
সবজি উৎপাদনে খ্যাত বালিয়াকান্দি উপজেলা। সবজি গুলোর মধ্যে ফুল কফি, পাতা কফি, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচা কলা, পেঁপে, লাউ, চাল কুমড়া, মূলা, সজিনা উল্লেখযোগ্য। এ উপজেলার আগাম সবজি ফুল কফি ও পাতা কফির কদর রয়েছে দেশের অধিকাংশ জেলাগুলোতে। এ এলাকার মাটি এতটাই উর্বর যে একই মৌসূমে একই জমিতে ৩ বার কফির আবাদ করে থাকে। মাঠ থেকে পাইকারী মহাজন ট্রাকযোগে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে ভোক্তার চাহিদা পূরন করে। উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নটাপাড়া গ্রামের কৃষক ব্রজেন বিশ্বাস জানান, ৫বিঘা জমিতে আগাম আইসবল জাতের ফুল কফি লাগিয়ে ছিল। কিছু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। ভারী বর্ষণে পচে নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। ধার দেনা হয়ে ফসল ঘরে তুলতে না পারায় কিভাবে দেনা পরিশোধ করবে ভেবে কুল পাচ্ছে না।
স্বপন বিশ্বাস জানান, ১২৫ শতাংশ জমিতে কফি লাগিয়ে বৃষ্টির আগে কিছু বিক্রি করেছে। একাধারে ৩দিনেরভারী বৃষ্টিতে নষ্ঠ হয়ে গেছে সমস্থ ক্ষেত। আবার লাগাতে হবে, দেনা হয়ে গেছে।
বহরপুর ইইনয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম জানায়, ১ একর জমিতে কফি আবাদ করেছি। অতিবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পোকা ও পচন লেগেছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আগাম সবজি চাষে উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে আইস বল, নিমজা ও হোয়াইট স্টন জাতের ফুল কফি আবাদ হয়েছে। কৃষক বৃষ্টির আগ হতেই কিছু কফি বিক্রি শুরু করেছে। প্রচন্ড খরার পর ভারী বর্ষণ, তারপর একই জমিতে প্রতিবছর একাধিকবার কফি চাষ সবমিলে পোকা ও পচনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব সময় কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিচ্ছে। ক্ষতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবগত করেছে।