রাজবাড়ীতে স্বামী মুক্তার সরদারের নির্মম নির্যাতনে অকালে মেয়ে জয়গনকে হারাতে হয়। মেয়ে হারানোর শোক সহ্য করতে না পেরে ঘর হারা হয়েছেন মা মনোয়ারা বেগম (৫০)। প্রায় দুই মাস যাবৎ হারিয়ে যাওয়া এই বয়স্ক নারী গোয়ালন্দ পৌরসভার দেওয়ান পাড়া ২নং ওয়ার্ড কাঠমিস্ত্রি জয়নদ্দিন শেখ এর স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেয়ের অকাল মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে হারিয়ে যাওয়া জয়গন বেগম এলোমেলো ঘুরতে থাকে। যাকে দেখে মা মা বলে জড়িয়ে ধরে। মাঝে মধ্যে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। আবারও ফিরে আসে। আবার সঠিক বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু আজ পর্যন্ত হত্যার বিচার পায়নি মেয়ে হারা জয়গন বেগম।
হারিয়ে যাওয়া মনোয়ারা বেগম এর স্বামী কাঠমিস্ত্রি জয়নদ্দিন শেখ বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ৩০ জুন ২০২১ তারিখে আমার মেয়েকে তার স্বামী মুক্তার সরদার ও তার পরিবারের সদস্যরা অস্বাভাবিক নির্যাতনের পর গলা টিপিয়ে হত্যা করে। এব্যাপারে ৪ জুলাই ২০২১ইং তারিখে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা নং (৫) করা হয়। সেই মামলা আজও বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু মেয়ের অকাল মৃত্যু আমার স্ত্রী সহ্য করতে পারে না। মাঝে মধ্যেই ঘর থেকে বেড়িয়ে যায় মেয়েকে খুঁজতে। এক দুই দিন পর ফিরে আসে। কিন্তু প্রায় দুই মাস পূর্বে কাঁদতে কাঁদতে মেয়েকে খুঁজতে বের হয় আমার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। দুই মাস পেড়িয়ে গেলেও আজও তিনি ফিরে আসেনি।
একাধিক এলাকাবাসী বলেন, মেয়ের অকাল মৃত্যুর পর থেকে পাগলের মত ঘুরে ফিরে চলেন। বাড়ীর পাশ দিয়ে কোন মেয়ে গেলে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। থানা পুলিশসহ অনেকের কাছে গিয়ে মেয়ের হত্যার বিচার চেয়েছেন। কিন্তু অসহায়ের কাঁন্না কে শুনে ? প্রায় দুই মাস পূর্বে মেয়েকে খুঁজতে জয়গন বেগম বাড়ী থেকে বের হয়েছেন। এখন তার কোন খোঁজ খবর নেই। এখন স্ত্রী ও মেয়েকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পরেছেন কাঠমিস্ত্রি জয়নউদ্দিন শেখ।