রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কামরুল, শামীম ও আরাফাত ইসলাম রাফিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে চন্দনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় রাজবাড়ী জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহীন, চন্দনী বাজার বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসহাক ফকিরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল শেষে সভা চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে সভায় হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। হামলায় ৫-৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করাসহ লোকজনকে মারধর করে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিএনপির মিটিং শেষের দিকে আরেকটি পক্ষ এসে মারধর ও ভাঙচুর শুরু করে। তারা হোটেলে ঢুকে টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করে। বাজার কমিটির অনুমতি নিয়ে বিএনপি একটি প্রোগ্রাম করছিল। হঠাৎ মিটিং শেষে একটি গ্রুপ এসে অতর্কিত হামলা করে সবাইকে মারধর করে।
রাজবাড়ী জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরী বলেন, সভায় আমি বক্তব্যে দেওয়ার সময় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর করে। এতে ছাত্রসহ বিএনপির অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন।