নিজের সংসার ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে সাতদিন ধরে অবস্থান করছেন প্রবাসীর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী। ঘটনার পর থেকে পালিয়েছে প্রেমিক রাসেল শেখ। এখন অনুশোচনায় ভুগছেন ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায়। এব্যাপারে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় গৃহবধূর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ১০ মাস পূর্বে তার স্বামী জীবিকার তাগিতে পারি জমান দূর প্রবাস ওমানে। আর এ সুযোগে একই এলাকার প্রতিবেশী আফসের শেখের ছেলে ২৪ বছর বয়সী রাসেল শেখের সাথে প্রেে মর সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২৫ আগস্ট গৃহবধূ সংসার ও তিন সন্তানকে ছেড়ে রাসেলের বাড়ীতে গিয়ে ওঠেন। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত রাসেল শেখ পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় গৃহবধূর নামে জিডি করেছেন তার ভাসুর। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গৃহবধূ তার প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে রয়েছে। গ্রামে এ ঘটনায় সালিশ করা হলেও এর কোন সুরাহা হয় নাই।
প্রতিবেশী রুনা আক্তার বলেন, তিনজন অবুঝ সন্তান রেখে প্রয়োজনের তাগিদে ওমান প্রবাসী হয় গৃহবধূর স্বামী। প্রবাস থেকে স্ত্রী-সন্তানদের জন্য কষ্ট করে অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তুু এদিকে এলাকায় তার স্ত্রী অবিবাহিত একটি ছেলে রাসেল শেখের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। দীর্ঘদিন প্রেম বিনিময় করে বিয়ের দাবিতে রাসেলের বাড়ী গিয়ে উঠে। রাসেলের বাড়ী গিয়ে ওঠার পর থেকে রাসেল পালিয়ে গেছে।
গৃহবধূ জানান, আমি স্বামীর সংসারে ফেরত যেতে চাই। আমি ভুল করে স্বামী রেখে রাসেলের সাথে প্রেম করেছি। প্রেম কিনা সেটা জানিনা তবে একটানা দীর্ঘ কয়েক মাস তার সাথে ফোনে কথা বলতাম। আমি এখন আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। এগুলো আমার ভুল হয়েছে। ভুল তো মানুষই করে আমাকে সুযোগ দিলে আমি ভালো হয়ে যাবো। আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমি এখন আমার সন্তানদের নিয়ে সংসার করতে চাই।
অভিযুক্ত রাসেল পলাতক থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি এবং এ বিষয়ে তার বসতবাড়িতে গেলে কোন তথ্য দিতে রাজি হননি রাসেল শেখের পিতা আফসের শেখ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চলছে।