রাজবাড়ীর সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মিয়াকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ চেয়ারম্যান কাজী শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে। এঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শতাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করে প্যানেল চেয়ারম্যানকে স্ব-পদে বহাল রাখার দাবি জানান। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান।
প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মিয়া শাহজাহান জানান, বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালীন সময়ে বেলা ১২ টার দিকে চেয়ারম্যান ও পরিষদের সচিবসহ কয়েকজন আমাকে রুমের মধ্যে আটকে রাখে। আটকানোর পর তাকে জোরপূর্বক একটি লিখিত কাগজে সাক্ষর করতে বলে চেয়ারম্যান। কাগজটি না পরে সাক্ষর করতে তিনি অস্বীকৃতি জানালে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এসময় চেয়ারম্যানের লোকজন তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে। পরে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
বরাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সামসুদ্দিন বিশ্বাস সানা বলেন, আব্দুল হালিম মিয়া শাহজাহান একজন জনপ্রিয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। তিনি নির্বাচনের মাধ্যমেই প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন। দেশের পটপরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে চেয়ারম্যানের রূপ বদলে গিয়েছে। গতকাল ইউনিয়ন পরিষদে সন্ত্রাসী বাহিনী সাথে নিয়ে এসে শাহজাহানকে একা পেয়ে জোরপূর্বক প্যানেল চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানান তিনি।
সুফিয়া আক্তার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা আব্দুল হালিম মিয়া শাহজাহানকে স্ব-পদে বহাল চাই এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কাজী শামসুদ্দিন হেসে হেসে বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। তার সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নাই। আমি কেন তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো। তিনি নিজেই পদত্যাগ করেছেন।