সহকারী মহা ব্যবস্থাপকের কার্যালয়, বালিয়াকান্দি সাব জোনাল অফিস রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌতিক বিলে গ্রাহক হয়রানী সহ আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। সচেতন গ্রাহকের ধরে দেয়া ভূলে কতৃপক্ষ দায় স্বীকার করেছে। গ্রাহকরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
পল্লী বিদ্যুতের অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ অফিসের আওতায় ৫০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৬০ জন। বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহের ৬টি ধাপ রয়েছে। আবাসিকের ক্ষেত্রে ০-৫০ ইউনিট লাইফ লাইনে প্রতি ইউনিট ৪টাকা ৬০ পয়সা, ডিমান্ড চার্জ ৪২ টাকা, মিটার ভাড়া ১০ টাকা সহ শতকরা ৫ টাকা হারে ভ্যাট সহ গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী প্রথম ধাপে প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ২৬ পয়সা, দ্বিতীয় ধাপে ৭ টাকা ২০ পয়সা এভাবে পঞ্চম ধাপ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতি ইউনিটের মূল্য রয়েছে। যে কোনভাবে একবার বিদ্যুৎ ব্যবহারের চেয়ে প্রতি ইউনিট রেট বেশী হলে মিটার পরিবর্তন ছাড়া ঐ রেটের ঘানি টানতে হয়। গত মে মাসে বিল প্রস্তুতকারীরা মিটার না দেখেই ঘরে বসে অধিক ইউনিট বসিয়ে গ্রাহকের বিল বানিয়েছে। কিছু কিছু গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশোধন করা হয়েছে। জঙ্গল ইউনিয়নের অলংকারপুর গ্রামের মোঃ হামিদুর রহমান শাম্পু মোল্যা জানায়, তার বাড়ীতে দুগ্ধ খামার রয়েছে। বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যায় একাধিকবার ফোন দিলে কেউই ফোন ধরে না। চর আড়কান্দির ইকোরচর গ্রামের রফিক সেখের এপ্রিল মাসের বকেয়া সহ ১৯০ ইউনিটের ২হাজার ৭শত ৯২ টাকা বিল করেছিল। সংশোধিত বিলে বকেয়া সহ ১১০ ইউনিটের ২ হাজার ১শ ৪৩ টাকা পরিশোধ করেছে। বেতাঙ্গা গ্রামের রবীন্দ্র নাথ পালের এপ্রিল মাসের বকেয়া মে মাসের ২৫০ ইউনিটের মোট ৩ হাজার ৩শ ৮৩ টাকা বিল করা হয়েছিল। সংশোধিত বিলে বকেয়া সহ ২ হাজার ৯শ ৮৫ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। চর আড়কান্দি গ্রামের আক্তারুজ্জামান এপ্রিল মাসে ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ১০৩ টাকা পরিশোধ করেছে। রায়পুর গ্রামের রুবিয়া বেগম জানায়, মিটার নেয়ার পর হতে লাইফ লাইনে ৪ টাকা ৬০ পয়সা হারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে। মে মাসে মিটার না দেখে বিল করায় ৬০ ইউনিটের ৫ টাকা ২৬ পয়সা হারে ৩৮৬ টাকা বিল পরিশোধ করেছে। মিটারে কত ইউনিট ব্যবহার করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোন ধারনা তাদের নেই। জুন মাসের বিল না আসা পর্যন্ত রহস্য বুঝতে পারছি না।
বালিয়াকান্দি সাব জোনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী উর হাসান জানান, জুন ফাইনালের হিসাব নিকাশ সাড়তে তড়িঘড়ি করে বিল করা হয়েছে। এটা তাদের ভূল হয়েছে। জুন মাসের বিলে ঠিক করে দিব। ইউনিটের বিষয়টি সংশোধন করা গেলেও ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত টাকা ফেরৎ দেয়া সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায় জানান, বিষয়টি শুনেছি কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।