শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

কিডনি রোগে আক্রান্ত শামীম বাঁচতে চান

গোয়ালন্দ প্রতিনিধি ॥
  • Update Time : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
  • ৮১ Time View

দুটি কিডনি নষ্ট। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না মো. শামীম সরদার (৩৬)। সমাজের বিত্তবানদের নিকট হাত বাড়িয়েছেন বাঁচার আকুতি নিয়ে। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার মন্ডল কিডনী ইউনিট, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ফরিদপুর এর অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে তিনি ঢাকা, শ্যামলী সিকেডি হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ও ডায়ালাইসিস করিয়েছেন। বর্তমানে তার সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালাইসিস করতে হয়।

রাজবাড়ীর জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড তোরাপ শেখের পাড়া গ্রামের মো. ইসলাম সরদারের ছেলে মো. শামীম সরদার (৩৬)। শামীম পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। অসুস্থতার কারনে গত ৩ বছর যাবত কোন কাজ করতে পারেন না।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার দুটি কিডনি নষ্ট। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন। আর এ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১২-১৫ লক্ষ টাকা। যা অসহায় পরিবারটির পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।

তার পরিবার জানিয়েছে, মো. শামীম সরদারের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে মাঠে যতটুকু জমি ছিলো তা বিক্রি করে চিকিৎসায় খরচ হয়ে গেছে। নিজের একটি ট্রাক ছিলো সেটাও বিক্রি করে চিকিৎসায় খরচ করেছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে ফরিদপুর থেকে টেষ্ট করানোর পর জানতে পারে তার দুটি কিডনি নষ্ট। সেদিন থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। এখন শেষ সম্বল হিসাবে তার বাড়ির ৪/৫ শতাংশ জায়গা রয়েছে। তাদের এই অসহায় পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবান, ধনবান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন পরিবারটি।

প্রতিবেশীরা জানান, সে একজন ভালো লোক। বছর তিনেক আগে তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়েছে। সে অত্যন্ত বিনয়ী, ভালো ছেলে। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়ল, যা সত্যিই দুঃখজনক। তার মাঠে যতটুকু জমি ছিলো সেটা বিক্রি করে সর্বত্র চিকিৎসা করিয়েছে। নিজের একটি ট্রাক ছিলো, সেটাও বিক্রি করেছে। এখন আর তার সামর্থ্য নাই চিকিৎসা করার। শামীমের স্ত্রী কল্পনা বেগম স্বামীর রোগ সনাক্ত হবার পর তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তার বৃদ্ধ বাবা-মা ছাড়া তাকে সেবা করার কেউ নেই।

দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফজলুল হক বেপারী বলেন, লোকটি খুবই দরিদ্র। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। আমার সাধ্য অনুযায়ী শামীমের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।

এ ব্যাপারে দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, শামীম ছেলেটি অনেক ভালো মনের মানুষ। আমি বছর খানেক আগে শুনেছি ছেলেটির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। অসহায় পরিবারটির পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় নির্ভার করা সম্ভব নয়। আমি তার জন্য সাহায্যের চেষ্টা করব। সাহায্য পাঠানোর জন্য: তার মোবাইল নম্বর- ০১৮১৭৬১৩৯৪৯ (বিকাশ পার্সোনাল)।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com