বছর ঘুরে আবার এলো পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বাঙালি মেতেছিল প্রাণের উৎসবে। পুরোনো গ্লানি, হতাশা, মলিনতাকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে বাংলা নববর্ষে আয়োজিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠান।
এদিন আনন্দঘন পরিবেশে নব আনন্দে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। জীর্ণ পুরাতন সব কিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে এদিন আহ্বান জানায় বাঙালি। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে রাজবাড়ীতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বর থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান প্রমুখ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ, রাজবাড়ীর উদ্যোগে সকালে শহরের আজাদী ময়দান থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সকাল নাড়ে ৯টায় আজাদী ময়দানের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখীর গান, নৃত্যসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলার ২০টি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এতে অংশগ্রহণ করে।
এর আগে বর্ষবরণ উদযাপন পর্ষদের উদ্যোগে লিটল ম্যাগাজিন ‘স্বর’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় বক্তৃতা করেন পর্ষদের আহ্বায়ক জ্যোতি শংকর ঝন্টু, সদস্য সচিব ফকির শাহাদাত হোসেন, স্বর এর সম্পাদক কবি খোকন মাহমুদ, সহযোগী সম্পাদক সৌমিত্র শীল চন্দন প্রমুখ।