৭০ বছরের বৃদ্ধা হতদরিদ্র বিধবা আরজু বেগম। সংসারে তার দেখার মতো তেমন কেউই নেই। যে যা দেয় তাই খায়, রাতে ঘুমায় অন্যের ঘরে। গত রোববার বেলা ২টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ হতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আরজু বেগমের জন্য নির্মিত ঘর হস্তান্তর করেন। এ সময় তিনি আনন্দে বলে ওঠেন, ‘কোনদিনও ভাবি নাই নিজের একটা ঘর অইব, দিনশেষে নিজের ঘরে মাথা গুঁজতে পারব’। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দোয়া কামনা করেন। আরজু বেগম উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ভোলাই মাতবর পাড়ার বাসিন্দা। রেজিষ্ট্রিকৃত তিন শতাংশ জমিতে ৪১৫ বর্গফুট আয়তনের দৃষ্টিনন্দন টেকসই ও ভূমিকম্প সহনশীল, তাপ প্রতিরোধী চালযুক্ত আধুনিক তিন কক্ষের বাড়িটি পেয়ে তার ঘরের দুঃখ দূর হলো। গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের আয়োজনে থানার হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মোঃ মোস্তফা মুন্সি, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুস সামাদ মোল্লা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, নারী ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যন গোলজার হোসেন মৃধা, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, ছোট ভাকলা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, স্থানীয় সুধী ও সাংবাদিকগণ। এসময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের অঙ্গিকার বাস্তবায়নের লক্ষে সারা দেশের ন্যায় গোয়ালন্দে তিন কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা আরজু বেগমকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে অন্যের বাড়িতে থাকতে হতো। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক এর উদ্বোধন করেছেন। যেখানে নারী পুলিশ থাকবে এবং নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদেরকে সেবা প্রদান করবে।