রাজবাড়ী পাংশায় বাইরে লাগিয়েছেন পাট, পেঁয়াজ ও ভুষি মাল ব্যবসায়ীর সাইনবোর্ড। ভেতরে অবৈধ ভাবে তৈরি করছেন ভেজাল গুড়। এটি করছেন উপজেলার বৃত্তিডাঙ্গা বাজারের সাব্বির এন্টার প্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃত্তিডাঙ্গা বাজারে (কাঠাল গাছ তলা) তিন শার্টার বিশিষ্ট মেসার্স সাব্বির এন্টার প্রাইজ নামে একটি পাট, পেঁয়াজ ও ভুষি মাল ব্যবসায়ীর আড়ৎ। আড়তের ভিতরে প্রবেশ করলে চোখে পড়ে ভিন্ন চিত্র। ভিতরে টিন ভর্তি গুড়, মাটির হাড়ি ভর্তি পুরাতন নষ্ট গুড়, পুরাতন নষ্ট পাটালী গুড় এবং গুড় তৈরীর চুলা ও হাউজ সহ গুড় তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় কারখানা সংশ্লিষ্টরা। এগিয়ে আসেন পার্শ্ববর্তী ব্যাবসায়ীরা। এটা দেখে কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করেন।
রবিউল ইসলাম নামের এক চা বিক্রেতা বলেন, রাত ১০ টার পর থেকে সারা রাত চালু থাকে, সকাল থেকে সারা দিন বন্ধ থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরাতন নষ্ট গুড় কিনে এনে চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে দো- জ্বালে করে আবার বিক্রি করে।
স্থানীয় আমিরুল সরদার বলেন, আমরা কারখানার ভিতরে এই প্রথম প্রবেশ করলাম। এখানে যা দেখছি, সম্পুর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সব ভেজাল। এসব খেলে মানুষ কখনো সুস্থ থাকবে না।
মেসার্স সাব্বির এন্টার প্রাইজ নামের সাইন বোর্ডে দেয়া প্রোপ্রাইটর মো. আবু বকর ছিদ্দীকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা ইন্ডিয়া থেকে এলসির গুড় কিনে এসে চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে গুর ও পাটালী তৈরী করে বাজারে বিক্রি করি। কারখানার কোন বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এলসি’র গুড় কিনে আনি, এলসি’র কাগজপত্র আছে। আমি নতুন ব্যবসা শুরু করছি। আর কোন কাগজপত্র লাগে কিনা জানি না। পাংশার তাপস পাল ও আমি সহ কয়েকজন পাটনারে এ কাজ করছি।
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না, এখন জানলাম। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।