শিশুশ্রম, শিশু ও নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং ক্রমহ্রাস পর্যায়ে আনতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ সমুহ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ছোট বড় কলকারখানা, পরিবহন খাত, গৃহস্থালী কাজ, কৃষি ক্ষেত্রে শিশু শ্রম ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে প্রায়শই ফুটে ওঠে। এ সমস্ত ঘটনা প্রবাহ মানবিক উন্নয়ন কাজে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিবেক তাড়িত করে, ফলে এ সমস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলি শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থা সমুহের মধ্যে ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, প্লান ইন্টারন্যাশনাল, সেভ দ্য চিলড্রেন, এ সকল ক্ষেত্রে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলির মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে শিশুশ্রম ও শিশুনির্যাতন বিরোধী এবং শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন যাবৎ সোচ্চার থেকে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে আসছে রাজবাড়ী জেলার কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা (কেকেএস)। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সাথে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা নিয়ে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করার জন্য কেকেএস ইতিমধ্যেই সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে ব্যপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেকেএস এর গ্রহণযোগ্য ভূমিকা পালন করার খ্যাতি বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রচারিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক সংস্থা যুক্তরাজ্যের দ্য ফ্রিডম ফান্ড কেকেএস এর সাথে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা (কেকেএস) এর দৌলতদিয়া কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজবাড়ী জেলার কেকেএস , ফরিদপুরের শাপলা মহিলা সমিতি (এসএমএস) ও দ্য ফ্রিডম ফান্ড এর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক সভায় উপস্থিত ছিলেন কেকেএস এর নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সহকারী নির্বাহী পরিচালক ফকীর জাহিদুল ইসলাম, অডিট এন্ড মনিটরিং অফিসার মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন, এসএমএস এর নির্বাহী পরিচালক চঞ্চলা মন্ডল, উপ-নির্বাহী পরিচালক শ্যামল অধিকারী, মনিটরিং অফিসার রনজিৎ কুমার শীল। দাতা সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার পলিন এ্যারন ও প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রোগ্রাম এ্যাডভাইজার খালেদা আক্তার।