গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী জেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামার সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।
মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এসএম রেজাউল করিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. মশিউর রহমান। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা।
কর্মশালায় জানানো হয়, এই প্রকল্পের আওতায় মৎস্য খামার আধুুনিকীকরণসহ উন্নত প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও উন্নত কৌলিতাত্ত্বিক গুণসম্পন্ন মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে মৎস্য খামারসমূহের প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া শতকরা ৩০ শতাংশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য খামারগুলোতে উন্নত মৎস্য প্রযুক্তি স্থাপন, উন্নত কৌলিতাত্ত্বিক গুণসম্পন্ন প্রজননক্ষম মাছ সংরক্ষণ এবং মৎস্য খামারে নিয়োজিত জনবলের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে দক্ষতা উন্নয়ন এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।
রাজবাড়ী জেলার মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী, মৎস্য খামারী, আড়তদার, বরফকল মালিকসহ মাছের সাথে সংংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। উৎপাদন খরচ কমিয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারলে বাজারে মাছের দাম ৩২ শতাংশ কমে যাবে। এতে ভোক্তা বা ক্রেতারা উপকৃত হবে। এতে লাভ সবারই হবে। এই প্রকল্প থেকে গুণগত মানসম্পন্ন রেনু পোনা উৎপাদন করা হবে। ভালো পোনা উৎপাদন করলে ভালো মাছ অবশ্যই পাওয়া যাবে। সেই কাজটিই আমরা করতে যাচ্ছি। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার- তার সবই এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।