শহিদুল ইসলাম ॥
অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাষ্কর্যটি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষোভ প্রকাশের সঙ্গে ভাষ্কর্যটির সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন। রাজবাড়ীর কালুখালীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু স্মৃতি রয়েছে। তাই এখানকার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু কোন জাত বা দলের নয়। তিনি এখানকার সব মানুষের। ২০১৫ সালের সরকার কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাষ্কর্য নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালে ১১ মার্চ তৎকালীন এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন স্মৃতি ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেই থেকে সকল জাতীয় দিনে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেনীর মানুষ স্মৃতি ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জায়গাটিকে মানুষ এখন বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর হিসেবেই চেনে।কিন্তু চত্ত্বরটি এখন অরক্ষিত। অভিযোগ রয়েছে, সন্ধ্যায় বখাটেরা চত্ত্বরে উঠে আড্ডা দেয়। কুকুর চত্ত্বরের উপরে উঠে ঘুমায়। ব্যবসায়ীরা মালামাল রাখে চত্ত্বরের উপর। এ ব্যাপারে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম জানান, এটি সুরক্ষা করা দরকার। চত্ত্বরের পাশে গড়ে ওঠা বাজারটাও সরিয়ে ফেলা দরকার। তবে কতদিনের মধ্যে তা করা হবে তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক জানান, আমি এটি সুরক্ষার কথা অনেক বলেছি। কন্তু কেউ আমার কথা শোনে না। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর দিনেও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্য এ কুকুর ঘুমোবে। এটা আমাদের জন্য বড় লজ্জার কথা । তিনি এটি সুরক্ষার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।