রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তরুণীর বাবা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো গোয়ালন্দ পৌরসভার আড়ৎপট্টি এলাকার লালমিয়া বেপারির ছেলে সজল বেপারী ওরফে শরিফ বেপারী (২৮), ঘোষ পট্টি এলাকার আলতাফ ডাক্টারের ছেলে মিঠু (৩৮) এবং উত্তর উজানচর নতুন পাড়ার বাসিন্দা মৃত তোতা শেখের ছেলে আলামিন শেখ (২৮)।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , তরুণীর বাবা একজন দিন মজুর। গত শনিবার দিনগত রাত ১ টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে ঘরে নেই। খোঁজাখুজির পর রাত ২টার দিকে তারা তরুণীকে বাড়ী থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ বাজার হতে দৌলতদিয়া ঘাট গামী রেল ব্রীজের ঢালে খুঁজে পান। এ সময় তাদের উপস্থিতি দেখে সেখান থেকে কয়েকজন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তরুণীকে সেখান থেকে উদ্ধার এবং হাতেনাতে ধর্ষক শরীফ বেপারী ও মিঠুকে আটক করে। তারা ঘটনার জন্য তরুণীর বাবার কাছে ক্ষমা চায়। অসহায় বাবা লোক লজ্জার ভয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ীতে চলে আসেন। পরদিন রবিবার তরুণীকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘটনা শুনে ভুক্তভোগী তরুণীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু দরিদ্র বাবা টাকার অভাবে মেয়েকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন নাই।
পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শে দুইদিন পর মঙ্গলবার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনকে জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৎক্ষণাৎ বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসিকে অবগত করেন। ওসি ইউএনও’র কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনা শোনার পর তরুণীর বাবাকে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এ সময় ভুক্তভোগী বাবা থানায় গিয়ে ওই দিনই ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২ জনসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বুধবার গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।