দীর্ঘ ১২ বছর পর সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন এর সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে এবং ডা. সৈয়দ মোঃ আমিরুল হক ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ীর নেতৃত্বে এই অপারেশন হয়।
সোমবার দুপুর ১ টা ২৯ মিনিটের সময় মাতা শারমিন আক্তার ও পিতা আমানত মোল্লার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। আজ বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ও শিশু রাসেলের সঙ্গে নামের মিল রেখে নাম রাখা হয় শাহাদাৎ হোসেন রাসেল। নামটি রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ আছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কোন প্রসূতি মায়ের অবস্থার অবনতি হলে বা সিজারের প্রয়োজন হলে আগে আমাদের জেলা শহর যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন উপায় ছিল না। বর্তমানে আমাদের হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা আমাদের হাসপাতালে পাওয়া যাবে। এ ব্যবস্থা আরও বেগবান করতে ও মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিজার সেবায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ে প্রসূতি মায়েদের জন্য সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা খুবই সীমিত। তাছাড়া এখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালের দূরত্ব ও অনেক। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার পরেও যে, আমরা চালু করতে পেরেছি সেটাই আমাদের কাছে আনন্দের ব্যাপার। এই সেবা চলমান রাখতে আমি আমার জায়গা থেকে কাজ করে যাবো।
অপারেশন টিমে ছিলেন ডা. তৃপ্তি সরকার জুনিঃ কনসালটেন্ট (গাইনি এন্ড অবস), ডা. প্রদীপ কান্তি পাল, জুনিঃ কনসালটেন্ট (এনেসথিসিয়া), ডা. নাজনীন নাহার নীরা সহকারী সার্জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স হোসনে আরা প্রমুখ।