শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
  • Update Time : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২
  • ১২৯ Time View

মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা” স্লোগানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে রাজবাড়ীতে।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান অনুষ্ঠান ২০২২ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন ও আমাদের জাতীয় জীবনে তার অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটনসহ জেলার দপ্তর প্রধান গণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেলাই মেশিন ও চেক বিতরণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় বলেছেন, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতার জীবন থেকে শুধু আমাদের দেশেরই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নারীরাও এই শিক্ষা নিতে পারে যে, কীভাবে একটি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছেন। আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েরা শুধু নয়, পৃথিবীর অনেক মেয়েরাই তার জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারে। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবার পাশে থেকে আমার মা এই সাহস দেখিয়েছেন যে, একজন মানুষ কীভাবে তার জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন একটি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতা সংসারের বিষয়ে, রাজনীতির বিষয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই যখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা আমাদের দেশের জন্য সবসময় সঠিক ও সময়োপযোগী প্রতীয়মান হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি তার জীবনটাও দিয়ে গেলেন।

তার অত্যন্ত সাদাসিদে জীবনযাপনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মায়ের জীবনে কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের জন্য কোনদিন কিছু চাননি। আমরা শুনিনি তিনি কোনো আবদার করেছেন। তার নিজের যেটুকু ছিল, সবই তিনি বিলিয়ে দিতেন। দলের জন্য, মানুষের জন্য, গরীব আত্মীয় পরিবার-পরিজনের জন্য।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ ও স্বাধীনতার জন্য আমার বাবার যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামের সারথি ছিলেন আমার মা। সবসময় আমার মা সাহস যুগিয়েছেন। তবে দেশ ও মানুষের জন্য আমার মায়ের যে আত্মত্যাগ, তা খুব কমই উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের জন্য বাবা বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকলেও কখনই বিরক্ত করতেন না।

মা বলতেন, আমি দেখব তুমি চিন্তা করো না। সংসার সামলানোর পাশাপাশি জাতির পিতার অনেক সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও বঙ্গমাতার পরামর্শ নিতেন। এতে আন্দোলন-সংগ্রামে গতির সঞ্চার করেছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com