গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ৩৭২ জন অসহায় নারীকে আর্থিক সহায়তা বাবদ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক নারীকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে যৌনপল্লীর পাশে দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠে এ চেক বিতরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যৌন কর্মীদের সংগঠন অবহেলিত মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা। যৌনকর্মীদের মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে তৈরীকৃত মোর্চার সার্বিক সহায়তায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ অর্থ সহায়তা বরাদ্দ দেয়।
চেক বিতরন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অবহেলিত মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী ফরিদা পারভীন।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার গণস্বাস্থ্যে কেন্দের সহকারী নির্বাহী পরিচালক ডা. মাহজাবিন চৌধুরী, নারী পক্ষের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফাবলিহা আক্তার, যশোরের বঞ্চিত সংস্থার নিবার্হী পরিচালক নুর নাহার রানু, সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হিসাবরক্ষক শুভ বশাক, পায়াক্ট বাংলাদেশ সংস্থার ম্যানেজার মো. মজিবুর রহমান খান জুয়েল, দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলী , কেকেএস সেফ হোমের ম্যানেজার মো. শাহাদৎ হোসেন, সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক নিলুফা বেগম প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের মাঠ সংগঠক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে চেক গ্রহণকালে কয়েকজন নারী আবেগাপ্লুুত হয়ে বলেন, বয়সের ভারে তারা এখন সকলের কাছে বোঝা হয়ে গেছে। দেখাশোনার তেমন কেউ নেই। নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হলেও ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারেন না। দু’বেলা ঠিকমতো আহার জোটে না। এই অর্থ তাদের অনেক উপকারে লাগবে।
অবহেলিত মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী ফরিদা পারভীন বলেন, যৌনকর্মীরাও মানুষ। তাদেরও রাষ্ট্রের কাছ থেকে আর্থিকসহ সকল ধরনের সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এখানে বড় ধরনের এই আর্থিক সহায়তা দেয়ায় আমরা মন্ত্রণালয়ের সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ বছর দেশের বিভিন্ন যৌনপল্লীর প্রায় দুই হাজারের অধিক যৌনকর্মীকে এ ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।