পাংশায় হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে মনিরুল বিশ্বাস (৪০) নামে এক যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউপির আব্বাস বিশ্বাসের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাট্টা ইউনিয়নের জাগিরকয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মনিরুল পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, পাংশা উপজেলা যুবদল নেতা ও জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ফরহাদ হোসেন সোহাগ মোটর সাইকেলযোগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে পাংশা যাবার পথে পাট্টা ইউনিয়নের গোলাবাড়ীতে হামরা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে তার পায়ের রগ কাটতে যায় হামলাকারীরা এবং পকেটে থাকা ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। সে সময় তার শ্যালক কাউসার হোসেন এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে জাগীর কয়া বাজারে সমাবেশ শেষে যুবদল নেতা ফরহাদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে ইউনিয়ন যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা যুবদল নেতা আরিফুল ইসলামের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করলে মনিরুলের হাতে লাগে।
আহত ফরহাদ হোসেন সোহাগ জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি, দখল, লুটপাঠ, জোর জুলমে বাধা দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তার ওপর হামলা হয়েছে। এ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে পাংশা পাট্টার জাগির নতুন বাজার প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন য্বুদলের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম মুরাদের সভাপতিত্বে পাংশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, কালুখালী উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আনিছ মোল্লা, জেলা ছাত্রদল নেতা মো. সজিব রাজা প্রমূখ বক্তৃতা করেন। যুবদল নেতা ফরহাদের ওপর হামলার ঘটনায় পাংশা মডেল থানা ও সেনা ক্যাম্পে পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।