গোয়ালন্দ উপজেলায় একই স্থানে আহবান করা বিএনপির দুই গ্রুপের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে শীঘ্রই দুই গ্রুপই পুনরায় সভা অনুষ্ঠানে অঙ্গীকারবদ্ধ। পাল্টাপাল্টি ডাকা এই জনসভাকে কেন্দ্র করে দলের সাধারণ নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মধ্যে বিরাজ করা উদ্বেগ-উৎকন্ঠার আপাতত অবসান ঘটেছে। শুক্রবার রাতে বিএনপির দুই অংশ পৃথক সভা ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে রেলষ্টেশন এলাকায় গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আবুল কাশেম মন্ডল। এসময় বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যড. লিয়াকত আলী বাবু, যুগ্ম আহবায়ক ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যড. আসলাম মিয়া, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নিজাম উদ্দিন শেখ, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ আহমেদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মোল্লা প্রমূখ।
অপরদিকে বিএনপির অপর অংশ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রেল ষ্টেশন এলাকায় তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায়। এখানে বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সুলতান নুর ইসলাম মুন্নু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলু, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মো. রুস্তম আলী মোল্লা এবং পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহিন মিয়া।
এর আগে গত কয়েকদিন ধরে ৫ জানুয়ারীর জনসভাকে সফল করতে উভয় পক্ষ নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করে। পাশাপাশি একে অপরকে প্রতিহত করতে সভা-সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলছিল। এতে করে দলের সাধারণ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দেয়। গোয়ালন্দ শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মহিউদ্দিন আনছার ক্লাব ময়দানে এ জনসভা আহবান করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী-১ আসনে বিএনপির রাজনীতি মূলত দুই ধারায় বিভক্ত। এর একাংশের নেতৃত্বে রয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যড. আসলাম মিয়া এবং অপর অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন দলের সাবেক এমপি, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। দুই নেতাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।